ওয়ালিদুর রহমান রাফিজ
সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদপ্রার্থী, চাকসু কেন্দ্রীয় সংসদ
ওয়ালিদুর রহমান রাফিজ
সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী, চাকসু
ভোটের তারিখ ও সময়
১৫ অক্টোবর ২০২৫
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা
আমার ইতিবৃত্ত, আমি কে?
আমি ওয়ালিদুর রহমান রাফিজ, সমাজতত্ত্ব ২০-২১ সেশনের একজন ‘আদি ও আসল ‘অরাজনৈতিক’ সাধারণ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাইমে এক বড়ভাই বলেছিলেন, ❝ওয়ালিদ, চবি একটা বড় সাইজের প্রাইমারি স্কুল ব্যতীত কিছু না, এখন তোমার ভেতর যে জ্ঞানস্পৃহা আছে, সবই সেখানে গিয়ে হারিয়ে ফেলবা অচিরে।❞
বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার যাত্রা শুরু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত বিজ্ঞান পড়লেও, নন-ফিকশন, রাজনীতি আর ইতিহাসের বইয়ের টানে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম উচ্চশিক্ষা নেব কোনো এক তাত্ত্বিক বিষয়ে। সাইন্সের খেলা বাদ দিয়ে জ্ঞানের গভীরে ডুব দেওয়ার বাসনাই আমাকে সমাজতত্ত্বে নিয়ে আসে।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে একসময় মনে হলো যে মুক্ত বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, মুক্ত আলোচনার জায়গা আমি খুঁজছিলাম, তা অনুপস্থিত। একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম পেলাম না, যেখানে স্বাধীনভাবে আলোচনা করে নিজেকে সমৃদ্ধ করা যাবে। এ অভাব থেকেই কিছু সহপাঠীকে নিয়ে আমরা শুরু করি “অনুধ্যান কেন্দ্র” – একটি স্বপ্নের জায়গা, যেখানে জ্ঞান, সাহিত্য ও ভাবনার চর্চা মিলেমিশে একসাথে চলবে।
আজ অনুধ্যান কেন্দ্র তার তৃতীয় বছরে। পথচলায় আমরা প্রকাশ করেছি প্রথম ই-ম্যাগাজিন, আয়োজন করেছি নানা সেমিনার – যেমন “জুলাই পরবর্তী ভাবনা”, “দীর্ঘতম জুলাই: মুক্তির পথ কতদূর”, কিংবা “ফ্যাসিবাদের বিকাশে বুদ্ধিজীবীদের দায়”।
আমাদের লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ভেতরে থাকা সৃষ্টিশীলতা, চিন্তা ও লেখালেখিকে প্রকাশের সুযোগ দেওয়া, আর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে তুলে ধরা জ্ঞান ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল কেন্দ্র হিসেবে।
ফ্যাসিবাদী আমলে অনুধ্যান তার কাজ যথাযথভাবে চালিয়ে যেতে না পারলেও, ২০২৩ এ আমরা আমাদের সর্বপ্রথম প্রকাশনা – ❝অনুধ্যান ই-ম্যাগাজিন❞ প্রকাশ করি। এতে শিক্ষার্থীদের এতো সাড়া পাই! যা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কেবলই একটা প্ল্যাটফর্ম কিংবা সুযোগের অভাবে কতশত সৃষ্টিশীল, অসামান্য প্রতিভার অধিকারী শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, সৃষ্টি, বুদ্ধিবৃত্তিক কথা-কাজ-লেখালেখি ইত্যাদি বিকশিত হচ্ছে-না তা ভাবতেই গা শিউরে উঠার মতো একটা ব্যাপার! আমাদের এসকল আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান হাজির করা, শিক্ষার্থীদের সচেতন করে তোলা, সাহিত্য সংস্কৃতি ও জ্ঞানের জগতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করা।
অতঃপর, আমি ওয়ালিদুর রহমান রাফিজ, আপনাদের জানাতে চাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি জ্ঞানকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার যে প্রয়াস আমরা ক্ষুদ্র পরিসরে চালিয়ে যাচ্ছি তাকে আরও সম্ভবপর করে তুলতে ❝সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদকের❞ পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এই কাজে আমাকে উপযুক্ত ব্যক্তি মনে করলে আপনার রায় দিন ১৫ তারিখ, সাহিত্যের ০৩ নং ব্যালটে…
ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাসে বাইরের কর্মকাণ্ড
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমার বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ অনুধ্যান কেন্দ্র’কে ঘিরে।
- নিয়মিত পাঠচক্র, সভা-সেমিনার আয়োজন, সাহিত্য আড্ডা, ম্যাগাজিন-পত্রিকায় ডুবে থাকার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সুন্দর দুটি বছর কেটেছে History Club Chittagong University-র সাথে। এই ক্লাব আমাকে শিখিয়েছে নেতৃত্ব কী! ক্লাবের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় লিডারশীপ রোল-এ থেকে নিজেকে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় হিস্ট্রি ক্লাবের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।
- এর বাইরে ২৪-এর অভ্যুত্থান থেকে উঠে সংগঠন JULY REVOLUTIONARY ALLIANCE এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে বর্তমানে কাজ করছি। এর কাজের পরিধি জুলাইকে ঘিরেই… ❞
- ক্যাম্পাসের বাইরে ফিউচার আইকন নামক করপোরেট ট্রেনিং কোম্পানির সাথে যুক্ত আছি ট্রেনিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে।